ইলেকট্রিসিটি ছাড়া আপনার হার্টে হবে না একটিও স্পন্দন। Page-88
ইলেকট্রিসিটি ছাড়া আপনার হার্টে হবে না একটিও স্পন্দন।
বিজ্ঞানী গ্যালভানি স্থির তড়িৎ আবিষ্কার করেছেন মাত্র দু'শাে বছর আগে। তার আগে বিদ্যুতের ব্যবহার জানতাে না মানুষ। কল্পনা করুন একটি দৃশ্য ও আফ্রিকায় একজন নিরক্ষর উপজাতির মানুষ, কিংবা ইতিহাসের কোন আদিম মানুষ পাথরের ভোতা অস্ত্র নিয়ে শিকার করতে যাচ্ছে , যে আগুনের ব্যবহারও জানে না। কিন্তু তখন তার যে হৃৎপিন্ডটি প্রতিমুহূর্তে সারা দেহে রক্ত সংবহন করছে, সেটা একটি ইলেকট্রিসিটি-চালিত হাইটেক পেসমেকার। পাথরের অস্ত্রটির ডিজাইনার আছে, পেসমেকারটি অটোমেটিক কোনো ভাবে সম্ভব নয় ?নাস্তিক বিজ্ঞানী শরীরের উৎপত্তি আকাসিকভাবে পূর্বে বিশ্বাস করলে ও এখন তা সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণিত হচ্ছে। পূর্বে তা আমরা বৈজ্ঞানিক অসংখ্য যুক্তি দিয়ে তা আমরা প্রমাণিত করেছি।
কিভাবে ব্যবহৃত হল সঠিক ভােলটেজের ইলেকট্রিসিটি –পাম্পিং মেশিন হার্টকে চালাতে?
ইলেকট্রিসিটির পরিমাণ কমে বা বেড়ে গেলে বিফল হয়ে পড়বে হার্ট। ভােল্টেজ কমে গেলে লাগাতে হয় কৃত্রিম পেসমেকার –১ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কিনতে হয় বিশেষ। ব্যাটারী যুক্ত পেসমেকার যন্ত্র, যা থেকে নির্দিষ্ট ভােল্টেজে (যেটুকু ঘাটতি আছে) সরবরাহ করা হয় বিদ্যুৎ। আপনার হার্টটি মিনিটে গড়ে 70-80 বার রক্ত পাম্প করে। এভাবে সারা দিনে 1,000,00 বার স্পন্দিত হয়। প্রতিবার স্পন্দনে সারা দেহে 90,000 কিলােমিটার দীর্ঘ রক্ত নালীতে রক্ত পৌছাতে হয়। প্রতিদিন হৃৎপিন্ড 2,000 গ্যালন রক্ত পাম্প করে। |হৃৎপিন্ড এতসব কাজ করতে পারে কেবল বিদ্যুৎ শক্তির সাহায্যে। হৃৎপিন্ডের দক্ষিণ নিলয়ের SA Node বা সাইনাে-অরিকুলার নােড় এবং AV Node বা অরিও ভেন্টিকুলার নােড থেকে প্রতি স্পন্দনের পূর্বেইলেকট্রিক চার্জ নির্গত হয়, সেই চার্জ নির্দিষ্ট পথ দিয়ে নিলয়ের মাংসপেশীতে ছড়িয়ে পড়ে, একে বলা হয় কন্ডাকশান পথওয়েজ বা তড়িতাবেশ পরিবাহ পথ।
এর ফলে মাংসপেশীতে আক্ষেপ ও সংকোচন ঘটে। তৈরী হয় স্পন্দন। 100 mv (মিলিভােল্ট) থেকে +50 mv -পরিমাণের এই বিভব পার্থক্য ঘটে 50 ms (মাইক্রোসেকেন্ড)-এর মধ্যে। ECG বা ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাম যন্ত্রের গ্রাফে ধরা পড়ে এই বিদ্যুৎ প্রবাহের পরিমাণ। সম্প্রতি আরাে উন্নত যন্ত্র ব্যবহৃত হচ্ছে – যেমন। EEG EKG এবং আধুনিকতম ECGI মেশিন ইলেকট্রোকার্ডিও গ্রাফিক ইমেজিং।।
প্রতিদিন সারা বিশ্বে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয় হৃদ্যন্ত্রের বৈকল্যে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, হার্টের সুক্ষ্ম ভােলটেজ পরিবর্তনের তারতম্য বিশ্লেষণ করে তার আসন্ন মৃত্যুর সম্ভাবনার ভবিষ্যৎবাণী করা যায়। ইন্ডিয়ানা ইউনির্ভাসিটি অব মেডিসিনের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান ডঃ ডগলাস জিপস জানাচ্ছেন ঃ “The problem of sudden death is very real; probably it is due to minute changes in the electrical activity of the heart which we have not been able to measure and are consequently inept at predicting accurately."
হার্টের ইলেকট্রিক ভােলটেজ কমে গেলে আপনি লক্ষ লক্ষ টাকায় কৃত্রিম পেসমেকার কিনতে পারেন, কিন্তু তা কখনই আসল বা অরিজিনালটির মতাে হবে না ::
কৃত্রিম পেসমেকার | ডি. এন.এ কোড থেকে তৈরী | পেসমেকার | |||
---|---|---|---|---|---|
• মিনিটে ১৫০ পর্যন্ত হার্টবিট সৃষ্টি করতে পারে।দৌড় ঝাপ করা যায় না। | • মিনিটে ৩০০ পর্যন্ত হার্টবিট সৃষ্টি করতে পারে। অলিম্পিক দৌড়ে সোনা জেতা সম্ভব। | ||||
• কিছু দিন পর পর রিপ্রােগ্রামিং করাতে হয়। | • সেলফ রিপ্রােগ্রামিং ক্ষমতাযুক্ত। | ||||
• নির্দিষ্ট সময় পর ব্যাটারী বদলাতে হয়।। | • এর প্রয়ােজন নেই।। | ||||
• কার্যকাল সীমিত, ২০-৩০ বছর। • শক্তিশালী ম্যাগনেটিক ফিল্ডের মধ্যে গেলে বিকল হতে পারে।। | • ৪০০ বছরেরও বেশি। • এমন সম্ভাবনা নেই। |
Comments
Post a Comment