বিজ্ঞানের যুগে বিশ্বসভ্যতা | উন্নত বিশ্ব কতখানি নিরাপদ ? প্রতি বছর স্বপ্নের দেশগুলাের পৃথিবীকে উপহার হাজার হাজার কোটি টন গ্রীন হাউস গ্যাস PAGE-7
প্রতি বছর স্বপ্নের দেশগুলাের পৃথিবীকে উপহার
হাজার হাজার কোটি টন গ্রীন হাউস গ্যাস
ইউরােপ আমেরিকার শিল্পোন্নত দেশগুলির বিলাস- বৈভবময় জীবনযাত্রা তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির কাছে স্বপ্ন। কিন্তু এর জন্য তারা পৃথিবীকে উপহার দেয় বিপুল পরিমাণ GH গ্যাস, পরিবার পিছু তিনটি গাড়ী সহ কোটি কোটি যন্ত্র-সরঞ্জাম ব্যবহৃত হয় তাদের বিলাসী জীবনধারার উপকরণ হিসাবে।
এর জন্য বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ৪০ টি দেশ বাতাসে যে গ্রীন হাউস গ্যাস ঢালছে, বছরে তার পরিমাণ প্রায় 1800 কোটি টন। কার্যত এই গ্যাস নির্গমনের পরিমাণ প্রতি বছরই বেড়ে চলেছে, জাতিসংঘের রিপাের্ট (UN_ Emissions by rich nations at highest level, ) পরিসংখ্যান এমনঃ ।
বিশ্বের ৪০টি শিল্পোন্নত দেশের GH গ্যাস নির্গমন :-
2014................................2150 কোটি টন
2015... ......................2280 কোটি টন
2016.. .....................2390 কোটি টন।
ইতিমধ্যেই যে এই মাত্রা 2500 কোটি টন ছাড়িয়ে গেছে বলাই বাহুল্য। পৃথিবীর সব দেশের মিলিত পরিমাণ প্রায় আড়াই হাজার কোটি টন এর বেশি ।
প্রসঙ্গতঃ, কেবল ভারতে ২০০৬ সালে—এক বছরে নতুন গাড়ী উৎপাদন হয়েছে ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার ৬০টি। সারা বিশ্বে কত, এবং প্রতি দশকে এই সংখ্যা কত, কল্পনা করুন।
ফল ক্লাইমেট চেঞ্জ, আবহাওয়ার নতুন নতুন বিশ্বরেকর্ড।
পৃথিবীর গায়ে মাধ্যাকর্ষণে আটকে থাকা বায়ুমণ্ডল, ট্রপােস্ফিয়ার খুব বেশি হলে ২০ কি.মি পুরু। এরপরে বায়ু খুবই হালকা, সাধারণ বিমান উড়তে পারে না।
এইটুকু স্তরে যদি প্রতি দশকে কুড়ি হাজার টন গ্রীন হাউস গ্যাস ঢালা হয়, বিশ্বের আবহাওয়া ও জলবায়ুর যে বারােটা বাজবে, সেটা মুনাফালােভী মার্চেন্টস্ আর জনমনােরঞ্জক রাষ্ট্রনেতৃবৃন্দ না বুঝলেও ধ্রুব সত্য।
সারা বিশ্বে বদলাচ্ছে জলবায়ু। বিশ্ব এগিয়ে চলেছে, এক এন্ভাইরোনমেন্টাল ক্যাটাসট্রফি’র দিকে।
২০০৬-২০২১এর কয়েকটি বিস্ময়কর ঘটনা
২০০৬ গত দুশাে বছরের মধ্যে উষ্ণতম বছর ডিসেম্বর ইংল্যাণ্ড, জার্মানিতে টিশার্ট গায়ে ঘুরে বেড়িয়েছে মানুষ। লণ্ডনে ফুটেছে গােলাপ, যেখানে বরফের চাদরে আবৃত থাকার কথা ইউরােপের।।
আফ্রিকার বিশাল পর্বত মাউন্ট কিলিমাঞ্জারাের আইসক্যাপের সিংহভাগ, ৮০ শতাংশ গলে গেছে;অচিরেই এই বরফগলা জলে পুষ্ট নদী শুকিয়ে আফ্রিকার অরণ্যে পশুদের জলাভাব আসন্ন।
রাজস্থানের মতাে মরুভূমি অঞ্চলের রাজ্য বন্যায় ভেসেছে, ২০ ফুট জলে ডুবেছে দোতলাও।
‘দার্জিলিংয়ে শীত চুরি’, রিপাের্ট মিডিয়ার।
উত্তর মেরুতে একটি বরফের সুবিশাল চাঁই ভেঙে গেছে, আয়তনে যা ১১ হাজার
ফুটবল মাঠ, বা পুরাে ম্যানহাটনের সমান।
যে দেশ সভ্যতায় যত দ্রুত প্রগতি করছে, সেই দেশ তত বেশি প্রদূষণ সৃষ্টি করছে - পৃথিবীর মধ্যে চীন (জাতীয় আর্থিক বৃদ্ধির হার ১১ শতাংশ) ১৩তম দূষণ সৃষ্টিকারী দেশ, ভারতের স্থান (৯ শতাংশ আর্থিক বৃদ্ধি) ৫তম। শীর্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
কোরোনার(কোরোনাভাইরাস ,COVID-১৯) মতো মহামারী সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে বিশ্বজুড়ে এক লক্ষ কমপিউটারের সাহায্য নিয়ে একটি ব্যাপক সমীক্ষা চালানাে হয়।
বিজ্ঞানীরা রিপাের্টে ভবিষ্যদ্বাণী করেন যে এই গ্রহের তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াস বেড়ে যাবে গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর ফলে। তাঁরা একটি তাপমাত্রা বৃদ্ধির বিশ্ব মানচিত্র তৈরী করেন।
সেখানে দেখা যায় যে আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলিতে উষ্ণতা বৃদ্ধি ঘটবে ১৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত, সেখানে ভারতে বাড়তে পারে ৪ থেকে ৬ ডিগ্রী।।
Comments
Post a Comment