বিজ্ঞানের যুগে বিশ্বসভ্যতা | উন্নত বিশ্ব কতখানি নিরাপদ ? পরিবেশ দূষণ ও তার কুফল। এরপর মানুষকে বাঁচতে প্রয়ােজন হবে আর একটা পৃথিবীর । PAGE-5
এরপর মানুষকে বাঁচতে প্রয়ােজন হবে আর একটা পৃথিবীর ।
PAGE-5
নিউজিল্যান্ডে অনুপ্রবেশ হয়ে উঠছে বড় সমস্যা। নিউজিল্যান্ডে বসবাসের জন্য গত দু’বছরে প্রায় বিশ হাজার মানুষ আবেদন করেছেন। ওরা প্রশান্ত মহাসাগরের ছােট ছােট দ্বীপের বাসিন্দা।হয়তাে গরীব, তবে শান্তিতে ছিলেন।
হঠাৎ কী হল? তাঁরা কি উন্নত জীবনের স্বাদ নিতে ঘর-বাড়ি ছাড়ছেন?
না। ওরা পরিবেশ-শরণার্থী। আমাদের কাছে স্বল্প-পরিচিত শব্দ। তবে দ্রুত পরিচিতি বাড়ছে।
সভ্যতার শুরু থেকেই মানুষ ভাল থাকতে চেয়েছে। সেই চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিতে বের হয়েছে একের পর এক প্রযুক্তি।
আমাদের মূল্যায়নে প্রযুক্তিনির্ভর সেই জীবনযাত্রাই উন্নত। প্রযুক্তিনির্ভর যন্ত্রচালিত জীবনে মানুষ হয়তাে নিজের মনমতাে পরিবেশ গড়ে নিতে পেরেছে, কিন্তু দূরত্ব বেড়েছে প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে, শুরু হয়েছে সংঘাত।
নির্মমভাবে স্বার্থপরের মতাে প্রকৃতিকে ধ্বংস করতে করতে মানুষ উপলব্ধি করেছে প্রকৃতির সঙ্গেই জড়িয়ে আছে তার অস্তিত্ব। তাই দূষণ যথাসাধ্য নিয়ন্ত্রণে এনে মানুষ সচেতন হয়েছে পরিবেশ রক্ষায়।
হয়েছে বসুন্ধরা সম্মেলন, কিয়েটো চুক্তিও হয়েছে। এসবই জানা তথ্য। কিন্তু বিপদ কি আদতেও কমছে? না আরও ঘনীভূত হচ্ছে সমস্যা?
পৃথিবী উত্তপ্ত হচ্ছে। এ বছর ঠাণ্ডা জার্মানিতেও তাপপ্রবাহে কাতর সাহেবরা খালিগায়ে জলে ঝাপিয়েছেন। সুইজারল্যাণ্ডের শ'খানেক হিমবাহ প্রায় ১৫ শতাংশ স্লিম হয়েছে।
এই হারে চললে অনেক হিমবাহ ইতিহাস হয়ে যাবে অদূর ভবিষ্যতে, শুকিয়ে যাবে ইউরােপের বেশ কিছু বিখ্যাত নদী। এশিয়ায় শুরু হয়েছে মেঘ না চাইতেই জল।
........ ডব্লু ডব্লু এফের মহানির্দেশক জেমসই লিপি শুনিয়েছেন অন্য এক শঙ্কার কথা। মার্কিন নাগরিকরা বেশ উঁচু জীবনযাত্রায় থাকেন। সারা পৃথিবীর চোখে তা স্বপ্ন। সারা পৃথিবীর মানুষ সেই উচ্চ জীবন যাপন করলে পাঁচটা পৃথিবী লাগবে সেই সভ্যতাকে বাঁচাতে।
আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার বিলাসবহুল জীবন শুষে নিচ্ছে প্রকৃতিকে। তার দাম কিন্তু দিতে হবে সারা পৃথিবীকে।
২০৫০ সালে মানুষকে বাঁচাতে প্রয়ােজন হবে আর একটা পৃথিবীর। ..... পৃথিবী তপ্ত হয়ে উঠছে। বাড়ছে সমুদ্রের খিদে।
আর জলস্তর ২০৩০-এ বাড়বে ১৬ সে.মি., ২০৭০-এ প্রায়। ৫০ সে. মি.। চিন, বাংলাদেশের বদ্বীপ, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কাকে তার দাম দিতে হবে।
মুছে যেতে পারে স্থলভাগের অনেকটাই। কমে যাবে উন্নয়নের হার।
... উন্নত সভ্যতা বেশী পরিবেশ দূষণ ঘটাচ্ছে। এটা প্রতিষ্ঠিত সত্য। আমরাও উন্নত দেশে ব্যবসা বাড়িয়ে দু’পয়সার মুখ দেখছি।
বাড়ছে জিডিপি। সচ্ছল আর্থিক ব্যবস্থার স্বপ্নে আমরা মশগুল। রিক্ত হচ্ছে প্রকৃতি, আমাদের ভবিষ্যৎ ব্যবহৃত হচ্ছে উন্নত সভ্যতার স্বার্থে। সােনালি ছটার পিছনে যেন কালাে রেখা। ঝা চকচকে জীবন শুরু করছে না তাে শেষের সেদিন?”
আমাদের বৈজ্ঞানিক মোর্ডকে ঘুরিয়ে আনা চেষ্টা করতে হবে প্রাকৃতিক উন্নয়নের স্বার্থে ,সব পরিবেশ দূষণ কলকারখানা কে ধীরে ধীরে বন্দ করতে হবে। কয়লা পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপন্নকারী , সমগ্র তাপবিদ্যুৎ থার্মাল কে বন্দ করতে হবে। প্রাকৃতিক বৈদ্যুতিক শক্তি যেমন জলবিদ্যুৎ ,সৌরবিদ্যুৎ ,এই সমস্ত বিদ্যুৎ কে বৈজ্ঞানিক উপায়ে এদের কর্মক্ষমতা কে বহুগুন বৃদ্ধি করতে হবে। যানবাহন চলাচলের জন্য পরিবেশ দূষিত জ্বালানি ,যেমন পেট্রল ,ডিজেল ,কয়লার বেবহার বন্দ করতে হবে।
বিজ্ঞান চিন্তাধারা কে বাড়াতে হবে কিভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে প্রাকৃতিক উপায়ে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে ,আমাদের দৈনন্দিন জীবন ও সমগ্র যানবাহন চলাচলের জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। যা আমাদের প্রকৃতির কোনো ক্ষতি না করে।
Comments
Post a Comment