মহাবিশ্বের উদ্ভব দুর্ঘটনা না সুপরিকল্পনা :বিগ ব্যাং-এর প্রমাণ। PAGE-29
মহাবিশ্বের উদ্ভব দুর্ঘটনা না সুপরিকল্পনা :বিগ ব্যাং-এর প্রমাণ।
বিগ ব্যাং যে হয়েছিল, কিভাবে প্রমাণ পেলেন বিজ্ঞানীরা ?
প্রধানতঃ দুটি প্রমাণই তাদের তৈরী এই বিস্ফোরণ-ধারণা বা হাইপােথেসিসের ভিত্তি।
১. হাবলস্ ল ঃ মানমন্দির থেকে বিজ্ঞানী এডুইন হাবল কোটি কোটি অলােকবর্ষ দূরের গ্যালাক্সির তারাদের ঔজ্বল্যের সাথে নিকটবর্তী তারাদের ঔজ্জ্বল্যের তারতম্য পরিমাপ করেন। এইভাবে গ্যালাক্সিগুলির দূরত্ব মাপেন।
১৯২৯ সালে হাবল এই তত্ত্ব স্থাপন করেন যে গ্যালাক্সিগুলি ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে। বেলুন অল্প ফুলিয়ে তার উপর দুটি বিন্দু এঁকে, পরে বেশি ফোলালে বিন্দুগুলির দূরত্ব বাড়ে।
এইভাবে গ্যালাক্সিগুলির দূরত্ব বৃদ্ধি প্রমাণ করে যে প্রথমে সব একত্রিত ছিল। তারা এর দূরত্বের হার মেপেছেন, যাকে বলা হয় হাল কনস্ট্যান্ট। এই কনস্ট্যান্ট নিয়ে বিজ্ঞানীদের মতদ্বৈত আছে; বর্তমানে তা ধরা হয় ৭২ কি.মি প্রতি সেকেণ্ড, প্রতি মেগাপারসেকেণ্ড (72km/s/Mpc),
জ্যোতির্বিজ্ঞানে এক পার সেকেণ্ড সমান প্রায় ৩.২৬ আলােক বর্ষ; এক আলােক বর্ষ হচ্ছে সেকেণ্ডে তিন লক্ষ কি.মি আলাের বেগ হলে এক বছরে আলাে যত দূরত্ব অতিক্রম করবে, ততটা,এবং ১০ লক্ষ পারসেকেন্ডে এক মেগাপারসেকেণ্ড হয়।।
২. কসমিক মাইক্রোওয়েভ ব্যাকগ্রাউণ্ড; ১৯৬৪ সালে অ্যামাে পেনজিয়াস ও রবার্ট উইলসন মহাকাশ সর্বত্র বিকিরণের অস্তিত্বের সন্ধান পান। এই মাইক্রোওয়েভের উৎস মহাকাশে বিন্যস্ত ও তাপবাহী আইসােটোপ থেকে ; তাদের তাপমাত্রা ২.৭৩৫ কেলভিন এর ফলে বিজ্ঞানীদের অনুমান যে সব পদার্থের উদ্ভব একউৎস থেকে, না হলে এই আইসােটোপগুলি সমভাবে বিন্যস্ত হল কিভাবে?
৩. সুপারনােভাগুলির পরস্পর সরে যাওয়ার গতিবেগ মেপেও বােঝা যায় যে মহাজাগতিক বস্তুগুলি পরস্পর সরে যাচ্ছে। কিন্তু বহু জ্যোতির্বিজ্ঞানী নিঃসংশয় নন। পৃথিবীতে ধূমকেতু গ্রহাণু বা বড় উল্কার সংঘর্ষের অব্যর্থ ভবিষ্যদ্বাণী বার বার মিথ্যা হয়েছে।
গ্রহ কতগুলি এই সাধারণ বিষয়েও বিতর্ক চলছে আজও এখনাে বিজ্ঞানীরা একমত নন। তাহলে কোটি কোটি আলােকবর্ষ দূরের চিত্র মেপে যে তত্ত্ব তৈরী, তার অভ্রান্ততা কখনােই প্রশ্নাতীত হতে পারেনা।
এমনকি তথাকতিত গ্যালাক্সি’র অস্তিত্বই আছে কিনা, সেবিষয়েও বিস্তর সংশয় বলে জানাচ্ছে এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা।
এখনাে মানুষ জানেনা প্রশান্ত বা আতলান্তিক মহাসাগরের কয়েক কিলােমিটার নীচে কি জীব বা কি বস্তু আছে। পৃথিবীর গভীরেও কি আছে, অজানা, কেবল অনুমানে ভরা।
এক বছরে আলাে যায় ৯৪৬০৮০ কোটি কি.মি। কোটি কোটি আলােক বর্ষ দূরের বস্তুগুলির অভ্রান্ত খবর পৌছে দেওয়ার মধ্যে ভ্রান্তির উপাদান যে থাকছে না;তার নিশ্চয়তা কোথায় ?
Comments
Post a Comment