মহাবিশ্বের উদ্ভব দুর্ঘটনা না সুপরিকল্পনা? :: সংক্ষেপে বিগ ব্যাং থিওরি PAGE-28
সংক্ষেপে বিগ ব্যাং থিওরি
‘বিগ ব্যাং তত্ত্বের ধারণা বা হাইপােথেসিস অনুসারে এক হাজার চারশাে কোটি বছর আগে ব্রহ্মাণ্ডের সব পদার্থ ও শক্তি ছিল ঘনীভূত - একটি পয়েন্ট’ অর্থাৎ বিন্দুর মতাে অবস্থায় ছিল , যে অবস্থাকে বলা হয় সিংগুলারিটি।
এর তাপমাত্রা ছিল অকল্পনীয়। এই সময় এর স্থানকালের অবনমন (Space-time Curvature) ছিল অসীম (Infinite)। এর আয়তন ছিল ক্ষুদ্র। (Zero Volume) এবং ঘনত্ব (mass-density) ছিল প্রায় সীমাহীন।
এর পর এটিতে ঘটনাক্রমে (By chance) এক প্রচন্ড বিস্ফোরণ ঘটে ( ‘বিগ ব্যাং')। এক সেকেন্ডের একশ কোটি ভাগের এক হাজার ভাগ সময়ের মধ্যেই গরম প্লাজমা থেকে তৈরী হয় বহু মৌল কণা—যেমন ফোটন, ইলেকট্রন, কোয়ার্ক।
প্রবল বেগে চারদিকে সম্প্রসারিত হতে থাকে অব-পারমাণবিক কণাসমূহের (Sub-atomic particles) অতি উত্তপ্ত মেঘ। ধীরে ধীরে নিউক্লিয়ার সিন্থেসিস ঘটে,সৃষ্টি হয় পরমাণুর।
তারপর ক্রমান্বয়ে হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম শীতল হয়ে নক্ষত্র ও গ্যালাক্সি বা ছায়াপথের উদ্ভব হয়। এইরকম একটি নক্ষত্র বা তারা, আমাদের সূর্য। সূর্যের কিছু কিছু গ্যাসীয় অংশ তার থেকে ছিটকে বেরিয়ে সৃষ্টি হয় গ্রহ-সমূহের।
জ্বলন্ত গ্যাসের পিন্ড স্বরূপ সেই গ্রহগুলি শীতল হতে থাকে। সৃষ্টি হয় চাঁদের এইভাবে, এক প্রবল বিস্ফোরণ—মহাদুর্ঘটনা, কসমিক অ্যাকসিডেন্টে জন্ম হয়েছে পৃথিবী, চাদ, সূর্য, সৌরজগৎ সহ বিশ্বজগতের। এই হচ্ছে ঘটনাচক্রে বিশ্বজগতের উদ্ভবের ইতিবৃত্ত।।
Comments
Post a Comment