বিজ্ঞানের যুগে বিশ্বসভ্যতা ||সভ্যতা দিগভ্রান্ত?PAGE-18
সভ্যতা : দিগভ্রান্ত?
PAGE-18
বায়াে-ডাইভারসিটি বা জীব বৈচিত্র্য এমন এক পারস্পরিক অবিচ্ছেদ্য শৃঙ্খলে আবদ্ধ, যার একটি ছিন্ন হলে অপরটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন যে গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর ফলে ৩০ শতাংশ প্রজাতি ধ্বংসের মুখােমুখি, আরও তাপমাত্রা বৃদ্ধি হলে সমুদ্রে জলস্ফীতি ও পৃথিবী জুড়ে আবহাওয়া-জলবায়ুর ব্যাপক বিপর্যয় বেশি দূরের কথা নয়, এই শতাব্দীতেই প্রত্যক্ষ করতে হবে মানুষকে।
ওজোন গহ্বর ক্রমপ্রসারমান। লাইফ ফাউন্ডেশান ইন্টারন্যাশনাল প্রদত্ত ২০০০-এ আর্থস্টার অ্যাওয়ার্ড’প্রাপ্ত এম. মিজি পৃথিবীর এই আসন্ন ভয়ংকর পরিবেশ। বিপর্যয়ের মুখে বিশ্ব-তত্ত্ববিদদের নীরব থাকতে দেখে লেখেন,
“ How sad it is now to see so much damage being done by man and by the misuse of new technology. How can the theologian, the spiritual leader, the scientist or the politician keep silent in front of such a tragedy! Is it at all possible that so much harm be done to 'sister earth, who is our mother?' Is it at all possible that science can do nothing to stop this tragedy of which the first victim will be man himself
আধুনিক বিজ্ঞানের জনক, ফাউন্ডিং ফাদার অ মডার্ণ সায়েন্স’ স্যার ফ্রান্সিস বেকন এই পরিণতির কথা ভেবে প্রথমেই এ-বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন বিশ্বের বিজ্ঞানীদের।
তিনি লিখেছিলেন, “ভগবান নিষেধ করেন যে আমরা যেন আমাদের নিজেদের কল্পিত স্বপ্ন অনুসারে পৃথিবীকে কোন রূপেরূপায়িত করার চেষ্টা না করি।.......
আমাদের ইন্দ্রিয়সমূহ ও আমাদের বােধ-জ্ঞানের সূক্ষ্মতার চেয়ে প্রকৃতির সূক্ষ্মতা অনেক অনেক গুণে বেশি।
বেকনের এই উদ্ধৃতি উল্লেখ করে বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞান গ্রন্থলেখক ফ্রীম্যান ডয়সন ১৯৯৬-এ কোলকাতার সায়েন্স সিটিতে আয়ােজিত বিজ্ঞান ও ধর্মের সমন্বয় কনভেনশানে আগত বিজ্ঞানী ও শ্রোতাদেরকে অনুরােধ করেন, বেকনের ঐ সরল বার্তাটি তাঁদের সঙ্গে করে নিয়ে যেতে – পৃথিবীর ভবিষ্যতের কথা ভেবে।।
Comments
Post a Comment