বিজ্ঞানের যুগে বিশ্বসভ্যতা ||বিংশ শতাব্দী ||সেঞ্চুরী অব ওয়ারস|| PAGE-16
বিংশ শতাব্দী ‘সেঞ্চুরী অব ওয়ারস’
PAGE-16
সভ্যতার তথাকথিত প্রগতি, জীবন যাত্রার মানের উন্নতি কি এই সম্ভাবনাকে প্রতিহত করতে পারবে? পারবে কিনা, বিংশ শতাব্দী নিজেই তার প্রমাণ দিচ্ছে।
জ্ঞানে বিজ্ঞানে বিংশ শতাব্দীকে সবচেয়ে উন্নত বলে মনে করা হয়। বিশ্বে সবচেয়ে সভ্যতার প্রগতি’এই শতাব্দীতেই হয়েছে। অথচ যুদ্ধ ও ধ্বংসে এই যুগ অতীতের সব যুগকে ছাড়িয়ে গেছে, মুছে দিয়েছে। অতীতের সমস্ত রেকর্ড।
এক শতাব্দীতেই দুটো বিশ্ব যুদ্ধ। কেবল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত হয়েছে সাড়ে ৬ কোটি মানুষ। এছাড়া ঘটেছে বহু আঞ্চলিক যুদ্ধ—চীন-জাপান, আমেরিকা ভিয়েতনাম, ইজরায়েল-লেবানন, ইরান-ইরাক, যুগশ্লাভিয়া-হারজেগােভিনা, আমেরিকা ইরাক (Gulf-war-1991), ভারত-চীন, পাকিস্তান বাংলাদেশ।
যুদ্ধই সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছে এই শতাব্দীর মানুষের চিন্তা, চেতনা, কার্যকলাপ, জীবনকে। পাশ্চাত্যের একজন বিশেষজ্ঞ বিংশ শতাব্দীকে সেজন্য ‘Century of Wars’ বা যুদ্ধের শতাব্দী বলে অভিহিত করেছেন। নব সভ্যতার শতাব্দীর পরিবর্তে-যুদ্ধের শতাব্দী!
সভ্যতা আর পরস্পর হানাহানি ও নরমেধ—দুটির একত্র অবস্থান প্রকৃত অর্থে সম্ভব কিনা, চিন্তাশীল পাঠকবর্গ ভেবে দেখুন।
বিশ্বনেতৃবৃন্দ পরস্পর মিলিত হন, সহাস্য মুখে পরস্পর করমর্দন করেন, প্রীতিতে আলিঙ্গনাবদ্ধ হন—মুহুর্মুহু ফটোফ্লাশে বন্দী হয় তাদের ছবি। কিন্তু এই ছবি যদি সত্যিই পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বিশ্বাস আর মর্যাদার প্রতীক হতাে, তাহলে বিশ্বে প্রতি দেশে এত গােয়েন্দাবাহিনী আর শত সহস্র বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র তৈরীর প্রয়ােজন থাকত কি, যেখানে বিশ্বের অর্ধেক মানুষ, শিশু এখনাে ক্ষুধা-অপুষ্টির শিকার ?
Comments
Post a Comment