স্বাধীন ইচ্ছা ও চেতনা জড়ের ধর্মের সম্পূর্ণ বিপরীত || Page-127
স্বাধীন ইচ্ছা ও চেতনা জড়ের ধর্মের সম্পূর্ণ বিপরীত
এই বিশ্বনিখিল এই চেতনার, (চেতন জীবের) বহুবর্ণাত্মক প্রকাশে মুখরিত। মৃতদেহকে কেউ অলংকারে শােভিত করে না। মৃতদেহ জড়ের স্তুপ; চেতনাকেন্দ্র অপসৃত হলে থাকেনা তার কোন সৌন্দর্য, হয়ে ওঠে পচনশীল।
এই চেতনার প্রধান লক্ষণ স্বাধীন ইচ্ছা কি?
এর উৎস কি?
জড়বিজ্ঞানে যদিও অনুসন্ধান অব্যাহত, তবুও এর কোন উত্তর নেই। চেতনার রাসায়নিক ম্যাস কম্বিনেশান, কেমিক্যাল ইকুয়েশান জানা নেই কারও:পদার্থবিদ্যা, রসায়ন এবং গণিতের নিয়ম দিয়ে প্রকাশ করা যায়না ভালবাসা, প্রেম, ভক্তি, স্নেহ, সৌহাদ্য, শিল্পবােধ, সৌন্দর্যবােধ- ইত্যাদি চেতনার মৌল অভিব্যক্তিগুলিকে।
অথচ, বিশ্বজগতে এই সূক্ষ্ম চেতন শক্তিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, মহার্ঘ, চেতনাই জড়ের উপর ক্রিয়া করে, গড়ে ওঠে গগনচুম্বী ইমারতশােভিত বড় বড় শহর, প্রযুক্তি, ধ্বংসাত্মক নিউক্লিয়র বােমা, রাষ্ট্রসংঘ।
সেই অপদার্থ, অ-জড় চেতন পদার্থ ম্যাটেরিয়ালিস্টিক সায়েন্সের পরিধির বাইরে, ফলে ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ হাতে বিজ্ঞানী প্রবেশ করতে পারেন না অদ্ভুত সৌকর্যপূর্ণ অনন্ত রহস্যময় চেতন-এর রাজ্যে।
কোলকাতার বােস ইনস্টিটিউটের ডাইরেক্টর, ইন্ডিয়ান অ্যাসােসিয়েশন অব কালটিভেশান অব সায়েন্সের প্রেসিডেন্ট, কোলকাতা ও কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য, বিজ্ঞানী এস.কে.মুখার্জী::--
“আধুনিক বিজ্ঞানে অনেক কিছুই অজ্ঞাত রয়েছে। এই বিষয়ে এনসাইক্লোপিডিয়া অব ইগনরেন্স (অজ্ঞাতার বিশ্বকোষ) বলে একটি আকর্ষণীয় বই রয়েছে। জানার থেকে অজানা জিনিসের সংখ্যাই বেশি। চেতন হচ্ছে তাদের মধ্যে একটি । চেতনাকে বােঝার জন্য আধ্যাত্মিক বিজ্ঞানের ক্ষেত্র থেকে তথ্যসূত্র গ্রহণের প্রয়ােজন।”
নােবেলজয়ী পদার্থবিদ চার্লস টাউনস::---
“আমরা সবাই উপলব্ধি করতে পারি যে আমাদের চেতনা ও স্বাধীন ইচ্ছা রয়েছে।। কিন্তু স্বাধীন ইচ্ছা বিজ্ঞানের বর্তমান নিয়মের সম্পূর্ণ বিপরীত। আমরা বিজ্ঞানীরা জানি আমাদের স্বাধীন ইচ্ছা রয়েছে, কিন্তু আমরা তা প্রমাণ করতে পারি না। আমাদের যে এটি রয়েছে, সে বিষয়ে আমরা প্রায় সম্পূর্ণ নিশ্চিত। কিন্তু এটা আমাদের বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের সম্পূর্ণ বিপরীত।”
Comments
Post a Comment