এখনো পর্যন্ত মানুষের অন্তর্বর্তী যোগসূত্র যুক্ত জীবাশ্ম পাওয়া যায়নি ,বিজ্ঞান যত উন্নত হচ্ছে বিবর্তনবাদের ধারক ডারউইন এর মতবাদ ভুয়ো প্রমাণিত হচ্ছে। ||Page-112
এখনো পর্যন্ত মানুষের অন্তর্বর্তী যোগসূত্র যুক্ত জীবাশ্ম পাওয়া যায়নি ,বিজ্ঞান যত উন্নত হচ্ছে বিবর্তনবাদের ধারক ডারউইন এর মতবাদ ভুয়ো প্রমাণিত হচ্ছে।
পিন্টডাউন ম্যান –
সায়েন্স ডাইজেস্ট :: জালিয়াতির উৎকৃষ্টতম নিদর্শন গত পঞ্চাশ বছর ধরে মানুষকে বােঝানাে হয়েছে যে পিল্টডাউনে পাওয়া মাথার করােটি মানুষের আদিমতম পূর্বপুরুষ শিম্পাঞ্জী ও মানুষের মধ্যবর্তী লিংক। পরে কিছু বিজ্ঞানীর নিখুঁত পর্যবেক্ষণে ধরা পড়ে সেটি ওরাং ওটাংয়ের চোয়ালের হাড় এবং একটি ছােট শিশুর করােটি জোড়া দিয়ে তৈরী। আবিষ্কারক বিজ্ঞানীরা’ রাতারাতি বিখ্যাত হবার আশায় ও বিবর্তনবাদকে বিজ্ঞানে পরিণত করার চেষ্টার অঙ্গ হিসাবে এই কান্ড করেছিল তারা বিশেষ রঞ্জকও ব্যবহার করে।
এই জালিয়াতি ধরা পড়ার পর পৃথিবীর পাঠ্যবইগুলিতে পিল্টডাউন ম্যানের সচিত্র বিবরণ পড়ানাে বন্ধ হয়।।
নেব্রাস্কা ম্যান ঃ নেব্রাস্কায় একটি প্রাচীন দাঁত পাওয়া যায়। অত্যুৎসাহী বিবর্তনবাদীরা ঐ দাঁতকে কেন্দ্র করে সম্পূর্ণ এক জনগােষ্ঠী ও তাদের জীবনযাত্রার ধরণ-ধারনের কল্প-কাহিনী গড়ে তােলেন। বহু বছর বিজ্ঞানীরা নেব্রাস্কা ম্যানকে মিসিং লিংক হিসাবে বর্ণনা করতে থাকেন। তারপর যখন ঐ আবিষ্কারকই ঐ করােটির বাকী অংশ খুঁজে পেলেন, তখন পরিষ্কার হয়ে গেল যে ঐ দাঁতটি ছিল একটি শুয়োর ছানার।
জাভা ম্যানঃ জাভা দ্বীপে এই প্রাগৈতিহাসিকমানুষ আবিষ্কৃত হয়। এই জীবকে মানুষ ও এপের মধ্যবর্তী মিসিং লিংক বলে রিপাের্ট করা হয়। গভীর অনুসন্ধানের পর প্রমাণ হল যে জাভা ম্যানের করােটির দুটি টুকরাে দুটি ভিন্ন ভিন্ন করােটির অংশ, যা ঐ দ্বীপের দুটি ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় পাওয়া গিয়েছিল। উভয় অংশই ছিল ওরাং ওটাং জাতীয় প্রজাতির এগুলি মানুষের ছিল না। সম্প্রতি ঐ একই ভূস্তরে মিলেছে আধুনিক মানুষের একাধিক করােটি।
পিকিং ম্যানঃ
বিংশ শতাব্দীর গােড়ার দিকে চীনের পিকিং-এ এই মানবাকৃতি জীব খুঁজে পান বিজ্ঞানীরা। কিন্তু অন্য কোন বিজ্ঞানী ঐ স্থানটি পরিদর্শনের অনুমতি পাননি তখনকার বন্ধদুয়ারের দেশ চীন সরকারের কাছ থেকে। গত পঞ্চাশ বছরের মধ্যে কেউই সেটি প্রকৃতপক্ষে দেখেনি। পিকিং ম্যান-নামের করােটিগুলির প্রত্যেকটিরই ছিল পেছনের অংশ আঘাতে ভাঙা। ঐ অঞ্চলের লােকেরা বানর শিকার করে খুলির পিছনে আঘাত করে। ঐগুলি বানরের নয়তাে? একদিন DNAপরীক্ষায় পাওয়া যাবে উত্তর।
তবে কোলকাতার কোন নামী হােটেল এক বিশেষ চীনা খাবার পরিবেশনের আগে একই ভাবে জীবন্ত বানরের খুলি ভেঙে ঘিলু নিয়ে খাদ্যে মেশায় চীনা শেফ, প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ।।
লুসি ঃ
সাম্প্রতিকতম আবিষ্কার, এবং সারা বিশ্বে এটি মানুষের আদিম পূর্বপুরুষ বলে স্বীকৃত হয়েছে। লুসি হচ্ছে ‘অস্ট্রেলােপিথেকাস’, অর্থাৎ এটি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বানর। পরবর্তীতে, যখন এর হাড়গুলাে স্পেকটোগ্রাফ মেশিনের সাহায্যে পরীক্ষা করা হয়, তখন দেখা যায় যে সেটি মানুষের নয়, বরং শিম্পাঞ্জীর হাড়ের সঙ্গেই মিলে যাচ্ছে। লুসিও একটি ‘মােজেইক’ সৃষ্টি, অর্থাৎ বিভিন্ন স্থানের হাড় সন্নিবিষ্ট করে বানানাে (ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, জুন-1973, p-819)।
ল্যাটেনােই পায়ের ছাপ:: লুসির হাড়গুলাে যেখান থেকে পাওয়া গিয়েছিল, এই পদচিহ্ন ছিল সেই একই ভূস্তরের পাথরে। বিবর্তনবাদী বিজ্ঞানীরা মন্তব্য করেন যে সেগুলি লুসি জাতীয় জীবের। কিন্তু একজন পােডিয়াট্রিস্ট বা পায়ের ছাপ বিশেষজ্ঞ পর্যবেক্ষণ করে রিপাের্ট দেন যে ঐ পায়ের ছাপগুলি আধুনিক আকারের মানুষের।
আর্কিওপটেরিক্স :
প্রতিটি পাঠ্য বইয়ে সরীসৃপ থেকে পাখী হওয়ার মধ্যবর্তী লিংক হিসাবে এই কংকালটির সচিত্র বিবরণ শােভা পায়। কিন্তু বর্তমানের অধিকাংশ বিবর্তনবাদীরা একে সরীসৃপ নয়, প্রকৃত পাখী বলেই মনে করেন। এছাড়া, আর্কিওপটেরিক্স যে ভূ-ত্বকে পাওয়া গিয়েছিল, তারও নীচের স্তরে পাওয়া গেছে সত্যিকার আধুনিক পাখীদের জীবাশ্ম। ফলে ফসিল রেকর্ড প্রমাণ করছে যে ঐ সব পাখীরা আর্কিওপটেরিক্স নামক কঙ্কালের থেকে পুরানাে।
চীনা জীবাশ্মবিদ জুজীভ দেখিয়েছেন যে আর্কেওপটোরিক্স প্রকৃতপক্ষে দুটি জীবাশ্বের সমন্বয় । পাখীর মতাে কোন একটি জীবের মাথা ও দেহ এবং ছােট প্রজাতির কোন ডাইনােসসারের ফসিলের লেজ (ডাইনােসােরই পাখীর পূর্বপুরুষ (!!) বলে বিজ্ঞানীদের দীর্ঘলালিত ধারণা)। জীভ বলেন যে তিনি চীনে একটি ব্যক্তিগত সংগ্রহশালায় একটি ডাইনােসােরের ফসিল দেখেছেন, যার লেজটি আর্কিওপটেরিক্সের অনুমিত লেজের হুবহু ‘মিরর ইমেজ’ –একই।।
বিখ্যাত বিজ্ঞান পত্রিকা ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক মার্চ, ২০০০ সংখ্যায় একটি নােট প্রকাশ করে, যেখানে বলা হয় যে আর্কিওপটোরিক্স ফসিলটির সিটি স্ক্যান করে দেখা যাচ্ছে যে তা জীভ -এর পর্যবেক্ষণকেই সমর্থন করছে, এবং ফসিলের অঙ্গকাঠামােগত অসামঞ্জস্য বা বিকৃতি প্রকাশ পাচ্ছে ("revealed anomalies in the fossil's reconstruction.")
Comments
Post a Comment