বিজ্ঞানের যুগে বিশ্বসভ্যতা ||বসুন্ধরা শীর্ষ বৈঠক ||PAGE-11
বসুন্ধরা শীর্ষ বৈঠক
১৯৯২-র জুনে ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরােতে পরিবেশ নিয়ে ‘আর্থ সামিট' নামে রাষ্ট্রপুঞ্জের উদ্যোগে একটি আন্তর্জাতিক বৈঠক হয়, যােগ দেয় পৃথিবীর প্রায় সব দেশ।
পরিবেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মদের নিরাপত্তা নিয়ে সেখানে গভীর আশংকা প্রকাশ করা হলেও তেমন কার্যকর উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হন রাষ্ট্রনেতারা। অর্থনৈতিক উন্নতি ক্ষতিগ্রস্ত হবার ভয়ে পিছিয়ে যায় কয়েকটি উন্নত দেশ।
শিল্পের প্রসার ঘটিয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হারের পরিমাণ ঠিক রাখার গুরুত্ব তাদের কাছে বসুন্ধরার স্বাস্থ্যের চেয়ে অনেক গুণে বেশি।
আধুনিক সভ্যতার মূলমন্ত্র, প্রকৃতির সম্পদ নিংড়ে ভােগপণ্য তৈরী, আর আমৃত্যু ইন্দ্রিয়তৃপ্তি। সবুজ পৃথিবী বিষে নীল হয়ে যাচ্ছে কিনা, ভাবুক পরের প্রজন্ম।
পরিবেশে প্রতি মাসে হাজার হাজার টন দূষিত পদার্থ নিক্ষেপ করছে সভ্য মানুষের এক একটি শহর। শুধু ভারতের সমস্ত শহরগুলি থেকে প্রতিদিন বিষাক্ত পদার্থ নির্গত হয় দুহাজার টন, এর মধ্যে কেবল দিল্লীতে প্রতিদিন ৭০০ টন করে।
যত শিল্পায়নে উন্নত শহর, তত বেশি প্রদূষণ। শহরে কিছু গাছ লাগালেই সমস্যার নিরসন সম্ভব নয়। শিল্পায়নের ফলে অক্সিজেন ধ্বংস আর গাছেদের অক্সিজেন দানের মধ্যে তৈরী হয়েছে বড় মাপের বৈষম্য।
বিশ্বে ক্রমশঃ নিঃশেষিত হচ্ছে বনাঞ্চল। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভাববার সময় নেই আমাদের। দিন রাত ছােটো, প্রকৃতি থেকে লােটো—এই হচ্ছে আমাদের নয়া সভ্যতার মােটো—মূলমন্ত্র।
মানুষের অবিমৃষ্যকারিতায় অপরিমেয় নিষ্ঠুরতায় ভেঙ্গে পড়তে বসেছে ইকো-সিস্টেম, বিপন্ন হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। একের পর এক বিলুপ্ত হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির জীব।
Comments
Post a Comment