অসম্পূর্ণ বিবর্তনবাদ ।।একটি অনুন্নত ব্যাকটেরিয়া কোষের জটিলতা || অনুন্নত জীব, অনুন্নত প্রযুক্তিঃ কোনাে জীবদেহ ‘অনুন্নত নয়।
অনুন্নত জীব, অনুন্নত প্রযুক্তিঃ কোনাে জীবদেহ ‘অনুন্নত নয়।
একটি ব্যাকটেরিয়ার কোষেও বিস্ময়কর প্রযুক্তির নিদর্শন রয়েছে। কোষের প্রতিটি অংশের সুনির্দিষ্ট কাজ রয়েছে। এর কোষ পর্দা জটিল ও সূক্ষ্ম আণবিক বিন্যাসে তৈরী। এর জিনের ডি এন, এ-তে সঞ্চিত রয়েছে কয়েকশাে বইয়ের সমান তথ্যভান্ডার – অত্যাধুনিক ইনফরমেশন টেকনােলজির জ্বলন্ত নিদর্শন। সরলতম, প্রােক্যারিওটিক কোষেও জটিলতম
* "The absence of fossil evidence for intermediary stages between major transitions in organic design, indeed our inability, even in our imagination, to construct functional interof evolution." mediates in many cases has been a persistent and nagging problem for gradualistic accounts ** ২৩৫ পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য।।
ডি.এন-এ ডাবল-হেলিক্স প্রযুক্তি রয়েছে। ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়ামে রয়েছে ডাইনামিক মােটর, যা ৪০ টি সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম যন্ত্রাংশের সমন্বয়ে তৈরী। ক্রমপর্যায়ে এক একটি করে যন্ত্রাংশের উদ্ভব—প্রাকৃতিক বিধানের দ্বারা অসম্ভব। অথচ একটি ব্যকটেরিয়ার কোষের আয়তন এক মিলিমিটারের কয়েক হাজার ভাগের এক ভাগ, যা খালি চোখে দেখা যায় না।
বিজ্ঞানীরা ন্যানাে টেকনােলজি নিয়ে গর্বিত, কিন্তু কোষে যে ন্যানাে টেকনােলজির ব্যবহার রয়েছে, তা অননুকরণীয়। একটি আলপিনের মাথার আয়তনে ১০ লক্ষ কোষ থাকতে পারে। তেমনি, একটি গােলাপ বা টগর যে রাসায়নিক অণুর বিশেষ বিন্যাস ঘটিয়ে সুগন্ধ তৈরী করে, সেটার জন্য নোবেল প্রাইজ যথেষ্ট নয়।
ছােট মৌমাছি সহ অগণিত পােকা যে তাদের দেহকে উন্নত ফ্লাইং মেশিন বানিয়েছে, বিজ্ঞানীরা ঐ-আকারে অত কার্যকর রােবােটিক ফ্লাইং মেশিন বানাতে গিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন। পােকারা ব্যবহার করে বিস্ময়কর চোখ। ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ক্যামেরা।
সামান্য ক্ষুদ্র বীজ থেকে বিশাল গাছ, কিংবা একটি ছােট্ট ডিম থেকে আস্ত কুমীর বেরিয়ে আসার প্রযুক্তিও অসাধারণ ও অননুকরণীয়। সরষের চেয়েও ছােট্ট বীজ থেকে বেরিয়ে আসে কয়েক একর জায়গা-জোড়া সুবিশাল বটবৃক্ষ, বেঁচে থাকে হাজার বছর, প্রতি বছর তৈরী করে এইরকম ক্ষমতা সম্পন্ন কোটি কোটি বীজ। প্রত্যেকটি বীজ থেকে এমন গাছ জন্মাতে পারে। অনুন্নত প্রযুক্তি? এই প্রযুক্তির অনুকরণ কি অত্যাধুনিক সায়েন্সল্যাবরেটোরিতেও সম্ভব?
বুদ্ধিমত্তাহীন প্রাকৃতিক নির্বাচন, জিন পরিব্যক্তি, এবং এইরকম হাজার হাজার শব্দের জাল বুনেও ব্যাখ্যা করা যায় না এই বিস্ময়কর টেকনােলজি। কোন জীবদেহই ‘অনন্নত প্রযুক্তির নিদর্শন নয়, উন্নততম, অভাবনীয় প্রযুক্তির ফলশ্রুতি, সেজন্য বিজ্ঞানীরা তৈরী করতে পারেন না এমনকি একটি ঘাসের ডগা কিংবা মশাও, কিংবা ছােট্ট একটি গাছের বীজ।
কোনাে অতিপ্রাকৃত বুদ্ধিমত্তা নয়
বিবর্তনবাদ সত্য হলে, জীবদেহগুলির কোন সুপ্রীম ডিজাইনার না থাকলে সরল বা জটিল, কোন জীবদেহে এমন প্রযুক্তির ব্যবহার থাকবে না, যা (১) প্রাকৃতিক নির্বাচন (১) জিন পরিব্যক্তি (৩) বৈশিষ্ট্যের বংশানুসরণ (৪) যােগ্যতমের উদ্বর্তন (5) অভিযােজন - ইত্যাদির দ্বারা কোটি কোটি বছরে আপনা থেকে ঘটনাক্রমে তৈরী হয়ে যাওয়া অসম্ভব।
কিন্তু বাস্তবে আমরা কি দেখি? জীবদেহগুলি এমন উন্নততম টেকননালজির নিদর্শন, যা অভাবনীয়, অননুকরণীয়।।।
যেমন, মাইগ্রেটরি বার্ডস-যাযাবর পাখী। কিছু বিজ্ঞানীদের মতানুযায়ী তারা ব্যবহার করে ম্যাগনেটাইড - ম্যাগনেটিক সেন্সর, চৌম্বকিয় কম্পাস। হাজার হাজার মাইল উডে যায় নিখুঁত লক্ষে, সব আবহাওয়ায়। রেডার-রেডিও-ওয়েভ-স্যাটেলাইটের মাধ্যমে গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম ব্যবহার করেও আবহাওয়া দুর্যোগে ভেঙে পড়ার খবর আসে বুদ্ধিমান পাইলট-চালিত আধুনিক বিমানের, বিধ্বস্ত হয় চ্যালেঞ্জার, কলম্বিয়ার মতাে হাই-টেক মহাকাশযান। একটানা হাজার হাজার মাইল ওড়ার সক্ষমতাও এক অসাধারণ ডিজাইনিংএর নিদর্শন। ইল মাছ তৈরী করতে পারে কয়েকশাে ভােল্টের বিদ্যুৎ। ইল মাছ ইলেকট্রিসিটির হদিশ পেয়েছিল কিভাবে —– কেমন ল্যাবে গবেষণা করে তারা তাদের মাংসপেশীকে চার্জার ব্যাটারীতে পরিণত করল? জীবদেহের প্রতিটি চোখ সুক্ষু আলােক - সংবেদি ক্যামেরা। ডিজাইনার ছাড়াই আপনা থেকে অপটিক্যাল টেকনােলজি? ডলফিন ব্যবহার করে সােনার-অ্যাকুয়া লােকেশান প্রযুক্তি। অজস্র দৃষ্টান্ত দেওয়া যায়।
Comments
Post a Comment