অত্যাশ্চর্য ডি.এন-এ তথ্য-প্রযুক্তির উদ্ভব বুদ্ধিমত্তা ছাড়াই স্বতঃস্ফূর্তভাবেঅসম্ভব || Page-80
অত্যাশ্চর্য ডি.এন-এ তথ্য-প্রযুক্তির উদ্ভব বুদ্ধিমত্তা ছাড়াই স্বতঃস্ফূর্তভাবেঅসম্ভব::
এই ব্যাখ্যা সকল যুক্তিকে অতিক্রম করে।
মহাকাশ সংস্থা নাসার তৈরী স্পেস-সাটল কলম্বিয়া কিংবা ডিসকভারি যখন উৎক্ষেপণ করা হয়, স্পেস-সেন্টারের বিজ্ঞানীরা কয়েকশাে সুপার কমপিউটারের সাহায্যে তা নিয়ন্ত্রণ করতে থাকেন।
ঐ স্পেস-সাটল গুলির ডিজাইনিং মানবীয় বুদ্ধিমত্তার চুড়ান্ত নিদর্শন বলে গণ্য করা হয় এবং সেই ডিজাইনিং-এর সব তথ্য ডিজিট্যাল কোডে বিধৃত থাকে কমপিউটারমেমারিতে।
তবুও ধ্বংস হয়েছে চ্যালেঞ্জার, কলম্বিয়ার মতাে হাইপার-টেকনােলজির মহাকাশযান। কলম্বিয়া ধ্বংসের পর আড়াই বছর উৎক্ষেপণ বন্ধ করে ১০০ কোটি ডলার খরচ করে এর প্রাযুক্তিক ত্রুটি অনুসন্ধান ও দূর করে ২০০৫ এর জুলাইয়ে নাসা উৎক্ষেপণ করে ডিস্কভারি। উৎক্ষেপণের পর খসে পড়তে থাকে জ্বলন্ত টুকরাে ।
জটিল প্রযুক্তি দাবী করে অত্যন্ত উন্নত ও নিখুঁত বুদ্ধিমত্তা। মানবদেহের যে কোন যন্ত্রাংশ, যেমন চোখের। জটিলতা সীমাহীন। যেমন, স্বচ্ছ লেন্সের থিকনেস বা পুরুত্বের মাপ ঠিকমত না হলে দেখতে হবে ঝাপসা। সঠিক মাপের জন্য ইনফরমেশান রয়েছে ডি.এন-এ কোডে । মানব দেহে ত্রিশ হাজার জিন রয়েছে, আর এই জিনগুলি তৈরী হওয়ার জন্য প্রয়ােজন কোটি কোটি নিউক্লিওটাইডের প্রিসাইজ সিকোয়েন্স’ বা সঠিক বিন্যাস।
বাইচান্স -এর দ্বারা আপনাথেকে এটি তৈরী হওয়া কার্যত সম্পূর্ণ অসম্ভব, ব্যাখ্যা করেছেন বিবর্তনবাদী জীবতত্ত্ববিদ বিজ্ঞানী স্যালিসবেবি।
“একটি মাঝারি মাপের প্রােটিনে প্রায় 300 অ্যামাইনাে অ্যাসিড থাকে। এই অণু তৈরি যে ডি.এন.এ জিনে নিয়ন্ত্রণ করা হয়, তার চেনে থাকতে হবে 1000 নিউক্লিওটাইড। যেহেতু D.N.A.চেনে চার ধরনের নিউক্লিওটাইড থাকে, সেজন্য 1000 লিংকযুক্ত একটি চেনে 4^1000 সংখ্যক ফর্ম বা নিউক্লিওটাইড বিন্যাস হতে পারে। একটু বীজগণিত (লগারিদম) প্রয়ােগ করলে আমরা দেখতে পাই যে 4^1000=10^600।
10 কে 600 বার 10 দিয়ে গুণ করলে যে সংখ্যা দাঁড়ায়, তা হচ্ছে ১ এর পর 600 টি শূন্য। এই সংখ্যা আমাদের উপলব্ধির অতীত।” 1 এর পর 12 টি শূন্য দিলে হয় এক ট্রিলিয়ন বা ১০ হাজার কোটি। তাহলে, 1 এর পর 600 শূন্য ? অকল্পনীয় সংখ্যা। এত সংখ্যার সম্ভাবনার মধ্যে সঠিক অ্যামাইনাে অ্যাসিড নিয়ে নিখুঁত প্রােটিন -এর সিকোয়েন্স তৈরীর কোড কি কোনাে নির্দেশ ছাড়া, বুদ্ধিমত্তা ছাড়া, সত্যিই কি আদৌ সম্ভব?
মস্তিষ্ক রসায়ন বা ব্রেন-কেমিস্ট্রির গবেষক,ইন্টারন্যাশন্যাল সােসাইটি অব নিউরােকেমিস্ট্রির ফাউন্ডেশান মেম্বার, কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কুল অব রিসার্চ ইন ব্রেন কেমিস্ট্রির প্রতিষ্ঠাতা, অধ্যাপক জগঞ্জীবন ঘোষ ::
“কিন্তু এই ডি-এন-এ এল কোথা থেকে? তাকে কে নির্দেশ দেয়? আমরা ডি-এন-এর গঠন প্রকৃতি ও কার্যকলাপ জেনেছি, কিন্তু কার নির্দেশে সে চলে জানতে পারি নি! কেউ একজন নির্দেশ দেয় নিশ্চয়। কে সে?
” ডারউনীয় বিবর্তনবাদী লেখক বিজ্ঞানী জীন কেনিয়ন স্বীকার করছেনঃ “This new realm of molecular genetics (is) where we see the most compelling evidence of design on the Earth.” অর্থাৎ ঃ “এই মলিকিউলার জেনেটিকস্ এমন একটি নতুন ক্ষেত্র যেখানে আমরা পৃথিবীর সবচেয়ে অপূর্ব ডিজাইনের প্রমাণ দেখতে পাচ্ছি।”
বিজ্ঞানী ওয়ার্নার গিট ::: “The coding systems used for living being is optimal from an engineering standpoint. This fact strengtherns the argument that it was a case of purposeful design rather than [lucky] chance."
* এক পিকো গ্রাম =এক গ্রামের দশ লক্ষ কোটি ভাগের এক ভাগ
Comments
Post a Comment