অবৈধ যৌনতার জন্য মানুষের দৈনন্দিন জীবনের ক্ষতিকর প্রভাবঃ PAGE-274
অবৈধ যৌনতার জন্য মানুষের দৈনন্দিন জীবনের ক্ষতিকর প্রভাবঃ
PAGE-274
অবৈধ যৌনতাঃ যৌন জীবন ভয়ংকরভাবে দেহচেতনা বৃদ্ধি করে আত্মাকে জড়বন্ধনে আবদ্ধ করে ;সেজন্য যৌনতার নানা বিধিনিয়ম রয়েছে। মানবজীবনের লক্ষ্য অন্তরস্থ সুপ্ত ভগবৎ চেতনার বিকাশ ;সেজন্য মানুষ সুনিয়ন্ত্রিত জীবন-যাপন করবে-এটিই কাম্য, পশুর অনুকরণ করে যথেচ্ছাচার করতে পারে না।
মানব সমাজে নীতি-নিয়ম এইজন্য রয়েছে যে, তারা যাতে তাদের দূষিত কলুষিত স্বভাব থেকে মুক্ত হয়ে সুস্থ, পবিত্র ও সুন্দর হয়ে ওঠে এবং এইভাবে ভগবদ্ধামে ফিরে যাবার যােগ্যতা অর্জন করে। উন্নত, সভ্য সমাজের জন্য উন্নত নিয়ম-নীতি ; যৌন-অপরাধের জন্য পশুর ফাঁসি হয় না, মানুষের হয়।
ভগবদগীতায় বলা হয়েছে, ধর্ম-অবিরুদ্ধ কাম ভগবানের প্রতিভূ (৭/১১), এর ফলে সৃষ্টিধারা অব্যাহত থাকে। এজন্য রয়েছে বিবাহ প্রথা। বর্তমানে নারী স্বাধীনতার প্রলােভন দেখিয়ে কদর্য অভিলাষ চরিতার্থ করতে ‘লিভ-টুগেদার’বা এইরকম নানা রীতি তৈরী করার চেষ্টা করছে কিছু মানুষ, বিশেষতঃ বিদেশে।
এর ফলে বহু নারী মা হয়, পুরুষ সঙ্গীটি যথাসময়ে সরে পড়ে, তখন সে গর্ভে তার শিশুকে হত্যা করতে বাধ্য হয়, নতুবা কোন অনাথ আশ্রমে বা চ্যারিটি হােমে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। সারা বিশ্বে ডিভাের্স-রেট ক্রমবর্ধমান।।
বর্তমানে সভ্যতা খুব উন্নত হয়েছে বলে মনে করা হয়, কিন্তু পণ্য-বিপণনের জন্য ক্রেতাকে প্রলােভিত করতে নারীকে অশালীনভাবে ব্যবহারের প্রতিযােগিতাতেই স্পষ্ট উন্নতির মাত্রা। নারী ব্যক্তিত্বের এই অবমাননা আলােড়িত করছে না নারীবাদী বিপ্লবীদেরকেও। বিদ্যালয়ের জীবন-শৈলী শিক্ষাতে নেই কোন পারমার্থিক জ্ঞানের ছোঁয়া, যার সাহায্যে নৈতিক সদাচারপূর্ণ সংযত উন্নত জীবন লাভ করা যায়। এই শিক্ষা সূক্ষ্মভাবে যৌনচেতনা বৃদ্ধির প্রয়াস যেন।
শিক্ষার আলােক প্রাপ্তরাই গিয়ে পরে ইংরাজী-বাংলা কাগজগুলির এডিটর, সাংবাদিক হচ্ছে। কিন্তু অশালীন ছবির জন্য কাগজগুলি বাড়ীতে মেলে রাখাই বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়ায়;তাদের দূষিত মগজ সমাজকে এই দূষিত উপহার দিতে প্রণােদিত করছে আধুনিকতা ও প্রগতিশীলতার নামে। মানুষের উজ্জ্বলতাকে রুখতে প্রকৃতি অবশ্য কিছু কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছেঃ এইডস।
ভারত-সহ অনেক দেশেই প্রায় মহামারীর আকার নিয়েছে এইডস। চলচ্চিত্র-টিভির প্রেরণায় কোটি কোটি মানুষের উচ্ছঙ্খলতার পথ বেছে নেবার ইচ্ছাকে প্রতিহত করছে এইড়স -ভীতি। কিন্তু এইভাবে প্রকৃতির শাসনে সংযত থাকা পাশবিকসভ্যতার লক্ষণ। মানুষকে জীবনের উচ্চতর উদ্দেশ্য সম্বন্ধে শিক্ষা না দিলে এইভাবে সমাজ কদর্য হয়ে উঠতে বাধ্য।
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু প্রবর্তিত কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলনের দিব্য স্পর্শে স্বরূপগত, নির্মল আত্মিক চেনা, ভগবৎ-প্রেম বিকশিত হয়, তখন নশ্বর দেহের কদর্য-হাড়-মাংস-রক্ত-কেন্দ্রিক চেতনার আবিলতা হতে মুক্ত হয়ে শ্রীকৃষ্ণের দিব্য রূপবিভাস, গুণাবলী, লীলাবিলাসের চিন্তায় অন্তঃকরণ উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।
Subscribe For Latest Information
Comments
Post a Comment