চারটি বিধিনিয়ম ও মহামন্ত্র উচ্চারণ :বৈজ্ঞানিক ভিত্তি।PAGE-259
চারটি বিধিনিয়ম ও মহামন্ত্র উচ্চারণ :বৈজ্ঞানিক ভিত্তি।
PAGE-259
বিজ্ঞানের উদ্দেশ্য মানুষকে সুখী করা। কিন্তু জড় নশ্বর জড়দেহে কোন মানুষই প্রকৃত সুখী হতে পারে না। কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলনের উদ্দেশ্য প্রত্যেক জীব-সত্তার মূল, আদি স্বরূপগত চেতনার পুনর্জাগরণ করা, কেননা কেবল তখনই জীব প্রকৃতই সুখী হতে পারে, এবং এইভাবে দুঃখালয় ও অশাশ্বত, পদে পদে বিপদ-মৃত্যু-সংকুল এই জড় পরিবেশ থেকে চিরন্তন, শাশ্বত ও দিব্যানন্দময় চিন্ময় পরিবেশে স্থানান্তরিত হতে পারে।
বিভিন্ন প্রজাতির জীবের মধ্যে সবচেয়ে বিকশিত-চেতনাসম্পন্ন মানুষের সভ্যতা-সংস্কৃতি-সমাজ-রাজনীতি -শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালিত হতে হবে প্রতিটি মানুষের সেই পরম কল্যাণের দিকে লক্ষ্য রেখে ঃ সেটিই সকলের সুহৃদ পরমপুরুষ ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নির্দেশ, অভিপ্রায়। এজন্য মানবসমাজে নানা বিধি-নিষেধ পালনের ব্যবস্থা রয়েছে – যা পশুদের সমাজে নেই।।
কিন্তু জড়শিক্ষার প্রভাবে দিগভ্রান্ত সমাজে আজ বিশ্ব জুড়ে অন্য দৃশ্য। কেবল অস্থায়ী জড়দেহের তৃপ্তির ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে সভ্যতা। সেজন্য মানুষ বিধি-নিষেধের উদ্দেশ্য বুঝতে পারছেনা, ফলে সেগুলি লঙঘন করে ‘বিপ্লবীর মর্যাদায় ভূষিত হওয়ার প্রতিযোগিতা করছে, বিশ্বজুড়ে এইভাবে বিধিনিয়ম ভাঙার খেলা চলছে এখন।
যেমন, সরকার রাষ্ট্রীয় খরচে শূকর পালনের প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি দিচ্ছেন, বিপণনের ব্যবস্থা করছেন। মদিরালয়ের লাইসেন্সও সুলভ ও প্রায় অবাধ হওয়ায় ঐ তরল অ্যালকোহলও বহু ‘শিক্ষিত’বুদ্ধিজীবের ‘প্রাণদায়ী’ পাথেয়। পােলট্রির মুরগীগুলি সরাসরি শকুনের জিনের সংমিশ্রণে তৈরী— ‘আধা শকুন’ –মিডিয়ার খবর। এইভাবে অবাধে পুশু হত্যা করে খাওয়া, নেশা করা, যেকোনাে জীবজন্তুর দেহ ভক্ষণ করা জড় বিজ্ঞান অনুসারে আদৌ গর্হিত কিছু নয়।
কিন্তু মানুষ ডাস্টবিন নয়। চেতন সত্তার বিজ্ঞান, পারমার্থিক বিজ্ঞান অনুসারে নিজের দেহকে জন্তু-জানােয়ারের রক্ত-পিত্ত-পেশী আর অ্যালকোহল ড্রাগের আস্তাকুঁড়ে পরিণত করে আমরা নিজেদের চেতনা কদর্য করে তুলি । দেহের সাথে চেতনার সম্বন্ধ রয়েছে ; দেহের সাথে ব্যক্তির চেতনা কদর্য হয়ে উঠলে পুরাে সভ্যতার অবস্থা কেমন হবে?
সূক্ষ্ম চেতনার সঙ্গে, স্বভাবের সঙ্গে বিভিন্ন খাদ্যের প্রতিক্রিয়া নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট হচ্ছেনা। ফলে এর প্রয়ােজনীয়তা উপলব্ধ হচ্ছে না সচেতন মানুষদের কাছে। কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলনে চারটি পাপকর্ম বা বিধিনিষেধ বর্জন এবং ভক্তিযােগ অনুশীলন, মহামন্ত্র উচ্চারণ প্রত্যেকের কাছে অভিপ্রেত, কেননা এর ফলে চেতনা জড়রােগমুক্ত ও নির্মল হয়ে ওঠে, কৃষ্ণচেতনা বিকশিত হয়। এটি রােগাক্রান্ত রােগীর রােগ-জীবাণুমুক্ত হয়ে শুদ্ধ, নির্মল, সতেজ হবার মতাে।
অনেকেই প্রশ্ন করবেন, এইসব বিধি-নিয়ম পালনের কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে কি ? অবশ্যই বৈজ্ঞানিকতা রয়েছে, কেননা এইগুলি পরম বিজ্ঞানী পরমেশ্বর ভগবানের দ্বারা প্রবর্তিত হয়েছে।
স্বল্প পরিসরে বিস্তৃত ব্যাখ্যা সম্ভব নয়;কেবল সংক্ষেপে আমরা বিধিনিষেধগুলির বৈজ্ঞানিক ভিত্তি অনুসন্ধান করব। চারটি নিষিদ্ধ পাপকর্ম ঃ ১.মাংসাহার (Meat-eating) ২. নেশা বা মাদকাসক্তি (Addiction to intoxicants) ৩. জুয়া লটারী খেলা (Gambling) ৪.অবৈধ যৌনকর্ম – (Illicit sex) NEXT PAGE
Comments
Post a Comment