যোগব্যায়াম,বকাসন ,বকাসনের প্রণালী ও বকাসনের উপকারিতা
বকাসন
যাতে ডান পায়ের গোড়ালী তলপেটে বাঁ দিকের মূলাধার স্পর্শ করে।
এখন বাঁ পা হাঁটুর কাছ থেকে ভেঙে ডান পায়ের উপর এমনভাবে রাখতে হবে, যাতে বাঁ পায়ের গোড়ালী ডান দিকের মূলাধার স্পর্শ করে।
এই ভাবে পদ্মাসনের ন্যায় বস্তে হবে।
এখন দম নিতে নিতে দুহাতের তালুর ওপর দেহের ওজন রেখে হাতের জোরে ছবির মত পদ্মাসনে অবস্থিত দেহ যতদূর সম্ভব উপরে তুলতে হবে।
এরপর ধীরে ধীরে দমছেড়ে দমকে স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে হবে। এই অবস্থায় মাথা উপরে তুলে রাখতে হবে।
এই ভাবে দম স্বাভাবিক ভাবে নিতে নিতে ও ছাড়তে ছাড়তে ২০/৩০ সেকেন্ড থাকতে হবে।
পারে দম ছাড়তে ছাড়তে পদ্মাসনে অবস্থিত দেহ হাতের ওপর থেকে নামিয়ে পা ছড়িয়ে বসে ৫/১০ সেকেন্ড বিশ্রাম গ্রহণের পর আবার পা বাদল করে মোট চার বার অভ্যাস করতে হবে।
উপকারিতা -১.এই আসন অভ্যাসে ঘাড়ের ব্যাথা দূর হয়। দীর্ঘদিনের ঘাড়ের বাত ক্রমস্য ঠিক হয়ে যায়।
২.এই আসন অভ্যাসে গলার কর্কশ আওয়াজ সেরে যায় ,এবং কণ্ঠস্বর সুমধুর হয়।
৩.এই আসন অভ্যাসে শরীর মজবুত হয় ,কাঁধের মাংসপেশি বৃদ্ধি পায়।
৪.এই আসন অভ্যাসে হাত শক্তিশালী ,হাতের মাংসপেশি শক্ত ও সুদৃঢ় হয়।
৫.এই আসন অভ্যাসে পেটের চর্বি নষ্ট হয় এবং হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়।
৬.এই আসন অভ্যাসে গালাগান্ডা রোগ দূর হয়।
৭.এই আসন অভ্যাসে চিবুকের নিচে জমে থাকা চর্বি দূর হয় ,ফলে মুখের সৌন্দর্য বাড়ে ও বয়স কম দেখায়।
৮.এই আসন অভ্যাসে মেরুদণ্ড শক্তিশালী ও নমনীয় হয়।
Comments
Post a Comment