যোগব্যায়াম। সিদ্ধাসন। সিদ্ধাসন এর প্রণালী। সিদ্ধাসন এর উপকারিতা।
সিদ্ধাসন।
যােনিস্থান কমজ্জিমূলঘটিতং কৃত্বা দৃঢ়ং বিন্যাসে।।
ন্মেট্ৰেপাদমথৈকমেব হৃদয়ে কৃত্বা হনুং সুস্থিরম্।।
স্থানুঃ সংযমিতেন্দ্রিয়ােহচলদৃশা পশ্যে ভূববারন্তরং,
হ্যেতন্মােক্ষবাটভেদজনক সিদ্ধাসনং প্রােচ্যতে।।৩৮৷৷
(হঠযােগ—প্রদীপিকা-৩৮)
সিদ্ধাসন এর প্রণালী::-
প্রথমে দু’পা ছড়িয়ে বসতে হবে । বাঁ পা হাঁটুর কাছে ভেঙে বাঁ পায়ের গােড়ালি সীবনীতে (মলদ্বার ও অন্ড কোষদ্বয়ের মধ্যবর্তী স্থানে) রাখতে হবে । জননেন্দ্রিয় ও অন্ডকোষ বাঁ হাতে তুলে ধরে বা গােড়ালির উপর রাখতে হবে । এখন ডান পা হাঁটুর কাছে ভেঙে ডান পায়ের গােড়ালি লিঙ্গমূলের উপরে মেরুদেশে রেখে ডান পায়ের আঙুলগুলি বাঁ ঊরুর উপর স্থাপন করতে হবে ।
এই অবস্থায় চিবুক বক্ষাস্থির কাছে এনে (চিবুক এবং বক্ষাস্থির মাঝে চার আঙুল ফাক থাকবে) দৃষ্টি ভূ-মধ্যে স্থাপন করে মেরুদন্ড সােজা রেখে ছবির মত হাত দুটি জানুর উপর স্থাপন করে বস্তে হবে । পায়ের অবস্থানের পরিবর্তনের পর প্রদত্তনির্দেশমত ৩০ সেঃ করে ৪ বার অভ্যাস করতে হবে ।।
সিদ্ধাসন এর উপকারিতা::-
১.এই আসন প্রাচীনকালে মুনি-ঋষিরা বেশিরভাগ এই আসনটি করতেন। মুনি-ঋষিরা এই আসন করতেন এর কারণ হচ্ছে এই আসনের ফলে সহজে মনকে স্থির করা যায়।
২.এই আসনের ফলেই মন স্থির হয় এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায় যারা অল্প সময়ের মধ্যে কোনোকিছু খেয়াল করতে পারে না তাদের এই আসনটি অত্যন্ত
উপযোগী।
৩.যেহেতু সোজাভাবে এবং হাত দুটি গোড়ালির উপরে মেরুদণ্ড সোজা করে বসতে হয় এর ফলে মেরুদন্ড সোজা এবং শক্তিশালী হয় এবং শরীরের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয় এর ফলে আমাদের হৃৎপিণ্ডে ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
৪.সহজেই কোন কিছুতে সিদ্ধি লাভ করা যায় এইজন্য এই আসনের নাম সিদ্ধাসন।
৫.সিদ্ধাসন বসে ধ্যান করলে প্রাণায়াম করলে আমাদের সহজেই সিদ্ধিলাভ হয় তাই এই আসনের নাম সিদ্ধাসন।
প্রাচীনকালে মুনি-ঋষিরা এই জন্য এই আসন বেশিরভাগ করতেন।
Comments
Post a Comment