যোগব্যায়াম ,অর্ধশলভাসন, অর্ধশলভাসনের প্রণালী ,অর্ধশলভাসনের উপকারিতা
অর্ধশলভাসন
অর্ধশলভাসনের প্রণালী ::-
দেহ সম্পূর্ণ প্রসারিত করে কম্বল বা নরম বিছানায় উপুড় হয়ে শুতে হবে । হাতের তালু উরুর সঙ্গে লাগিয়ে মাটিতে রাখতে হবে । (হাতের তালু কম্বলের উপরে থাকবে,কাঁধ ও কপাল বিছানায় লেগে থাকবে।) এইবার দম নিয়ে প্রথমে দম বন্ধ করে বাঁ পা কে ছবির মত শূন্যে তুলতে হবে । এখন দৃষ্টি রাখতেহবে যাতে-পায়ের আঙ্গুল সরল থাকে হাঁটু না বাঁকে বা কাঁধ উপরে উঠে না যায় ।
এরপর পুনরায় পা বদলকরে একই রকম ভাবে আগের মতো অভ্যাস করতে হবে।
এর পর সমস্ত শরীর শিথিল করে ৫ থেকে ১০ সেকেন্ড এই অবস্থায় থেকে দম ছাড়তে ছাড়তে দেহ শিথিল করে পা টিকে মাটিতে নামাতে হবে। এই আসনটি প্রথমে ৩ বার, পরে ৫/১০ বার অভ্যাস করতে হবে ।
প্রথম অভ্যাসকারী প্রথম কিছুদিন এই নিয়মে দম নেবে কিন্তু কয়েকদিন অভ্যাসের পর আসন অভ্যাসকালে দম বন্ধ না করে স্বাভাবিকভাবে দম নেবে ও ছাড়বে।
প্রথম প্রথম যাদের শলভাসন অভ্যাস কষ্টকর হবে, তারা প্রথমে প্রদত্ত নির্দেশ মত বাঁ পা যতদূর সম্ভব ছবির মত উপরে তুলে নিজের সাধ্যমত ৫/১০ সেকেন্ড থেকে বাঁ পা নামিয়ে ডান পায়েও ঐরকমভাবে অভ্যাস করবে। ইহাকে অর্ধশলভাসন বলে। যােগ শাস্ত্রে-অর্ধশলভাসনের উল্লেখ নেই। শলভাসন অভ্যাসে অক্ষম ব্যক্তিদের সুবিধার জন্য স্বামী কুবলয়ানন্দ এই আসন প্রচলন করেন। কিছুদিন অর্ধশলভাসন অভ্যাস করার পর পূর্ণ শলভাসন অভ্যাস সহজ হয়।
অর্ধশলভাসনের উপকারিতা ::-
এই আসন অভ্যাসে মধ্যচ্ছদা অর্থাৎ বুক ও পেটের মাঝখানকার পর্দাটির ক্রিয়া ভাল হওয়ায় হৃৎযন্ত্র ও হজমযন্ত্রের কাজ ভাল হয়। পেটের নীচের ও পাছার পেশীগুলি মজবুত হওয়ায় এবং মেরুদন্ডের কাজ ভাল হওয়ায় কোমরের ব্যথা, সায়টিকার ব্যথা ও কটিবাত ইত্যাদি সেরে যায়। এ ছাড়া এই আসনে ক্ষুধা বৃদ্ধি করে, খাবার পর পেটফাঁপা রােগ সারায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এই আসন অল্পদিন অভ্যাসে মেয়েদের অনেকদিনের ঋতুকালীন মাজা ব্যথা আরােগ্য হয়। এই আসনে এডরেনাল গ্রন্থির কাজ ভাল হয়।
এই আসন অভ্যাসের সময় বুক ও ফুসফুসের উপর একটু চাপ পড়ে, যাদের ফুসফুস দুর্বল ও যাদের হৃদরােগ আছে, তাদের এই আসন অভ্যাস করা উচিত নয়।
Subscribe For Latest Information
Comments
Post a Comment