যোগব্যায়াম ,কুক্কুটাসন ,কুক্কুটাসন প্রণালী, কুক্কুটাসন এর উপকারিতা
যোগব্যায়াম ,কুক্কুটাসন ,কুক্কুটাসন প্রণালী, কুক্কুটাসন এর উপকারিতা
কুক্কুটাসন প্রণালী- পা দুটি সামনে ছড়িয়ে সোজা হয়ে বসতে হবে। এইবার ডান পা হাঁটুর কাছ থেকে ভেঙে বাঁ জানুর ওপর রাখতে হবে। যাতে ডান পায়ের গোড়ালী তলপেটে বাঁ দিকের মূলাধার স্পর্শ করে।
এখন বাঁ পা হাঁটুর কাছ থেকে ভেঙে ডান পায়ের উপর এমনভাবে রাখতে হবে, যাতে বাঁ পায়ের গোড়ালী ডান দিকের মূলাধার স্পর্শ করে। এই অবস্থায় যাতে হাঁটু ভূমি থেকে না উঠে পড়ে, সে দিকে দৃষ্টি রাখা জরুরি।
এই ভাবে পদ্মাসনের ভঙ্গিতে বস্তে হবে। এর পর দুই জানুর মধ্যে দুই হাত ঢোকাতে হবে ,দুই হাত ঢোকানোর পর দুই হাতের বিস্তৃত তালু দুটি মাটিতে রেখে দুই হাতের উপর সম্পূর্ণ ভর দিয়ে পদ্মাসনে অবস্থিত দেহ কে শূন্যে তুলতে হবে।
এই অবস্থায় সামর্থ মত ১০ সেকেন্ড থেকে ১ মিনিট পর্যন্ত থাকতে হবে। প্রথম অভ্যাসকারী এই অবস্থায় থাকাকালীন দম বন্দ করে থাকতে পারে,কিন্তু পরে স্বাভাবিক ভাবে দম নিতে ও ছাড়তে চেষ্টা করতে হবে।
এই আসন মুক্ত পদ্মাসনের মতন পা পরিবর্তন করে ৪বার অভ্যাস করতে হবে। এই আসনের অবস্থিত ব্যাক্তিকে কুক্কুট বা মুরগির মত্ দেখায় তাই এই আসনের নাম কুক্কুটসন।
কুক্কুটাসন এর উপকারিতা:-
১.এই আসনের ফলে হাতের পেশি পায়ের পেশী এবং কাঁধের পেশি শক্ত ও মজবুত ও শক্তিশালী হয়.
২.এই আসনের ফলে কাঁধের অসমতা দূর হয়। এই আসনে নিয়মিত অভ্যাসের ফলে হাতের কব্জির জোর বাড়ে।
৩.এই আসনের ফলে কোমরে বাদ এমনকি সাইটিকা পর্যন্ত লুপ্ত হয়। কিন্তু পিঠে বা কাঁধের ব্যথা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এই আসন করা উচিত।
৪.এই আসনের ফলে স্বপ্নদোষ বন্ধ হয় এবং দুর্বল পরিপাকতন্ত্র সবার হয়ে থাকে।
৫.নিয়মিত এই আসনের অভ্যাসের ফলে সুষম্না নাড়ীর রুদ্ধদ্বার মুক্ত হওয়ার ফলে উভয় নাসিকার সমানভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস চলে।
Subscribe For Latest Information
Comments
Post a Comment