যোগব্যায়াম বীরাসন অথবা সুখাসন, যোগব্যায়াম বীরাসন , বীরাসনের প্রণালী ও বীরাসনের উপকারিতা
যোগব্যায়াম বীরাসন অথবা সুখাসন
যদি কোনো ব্যাক্তি অথবা ছাত্র ছাত্রী এই যোগাসনটি সকাল সন্ধ্যা করতে পারে তাহলে এরফল অত্তন্ত চমকপ্রদ
মোটা লোকেদের বা যাঁদের বয়স ৪০ অতিক্রম করেছে তাঁদের পক্ষে পদ্মাসন অভ্যাস করা অনেক সময় কষ্টকর। তাঁদের সুবিধার জন্য বীরাসনের ব্যবস্থা। অনেকে বীরাসনকে সুখাসন নামেও অভিহিত করে থাকেন।
বীরাসন ও সুখাসন
মোটা লোকেদের বা যাঁদের বয়স ৪০ অতিক্রম করেছে তাঁদের পক্ষে পদ্মাসন অভ্যাস করা অনেক সময় কষ্টকর। তাঁদের সুবিধার জন্য বীরাসনের ব্যবস্থা। অনেকে বীরাসনকে সুখাসন নামেও অভিহিত করে থাকেন।
প্রণালী - ১.প্রথমে বাঁ পা হাঁটুর কাছ থেকে ভেঙে ডান হাঁটুর উপর রাখো, যাতে বাঁ পায়ের গোড়ালি ডান দিকের মূলাধার স্পর্শ করে।
২.এখন ডান পা হাঁটুর কাছ থেকে ভেঙে বাঁ পা-র নীচে রেখে সোজা হয়ে বস। পদ্মাসনের মতোই এই আসন অভ্যাস করতে হয়।
৩.লক্ষ্য করতে হবে শরীর মেরুদণ্ড ,ঘাড় ও মাথা যেন সোজা হয়ে থাকে।
৪.একটি হাতের তালুর উপর আর একটি হাত রেখে সোজা হয়ে বস্তে হবে।
৫.চোখ বন্দ করতে হবে ,চোখ বন্দ করে দুই ভুরুর মাঝখানে কোনো একটি বিন্দু কে কল্পনাকরে অথবা কোনো দেবদেবীর মূর্তির ছবি কল্পনা করে ধ্যান করতে হবে।
৬.এই আসন করার সময় নিঃস্বাস-প্রশ্বাস কে স্বাভাবিক রাখতে হবে।
7.ধ্যান করার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যেন মেরুদণ্ড সোজা থাকে।
উপকারিতা - ১.এই আসন অভ্যাসে মনঃসংযোগ বৃদ্ধি পায়।
২.এই আসন অভ্যাসে কাজের প্রতি ইচ্ছা শক্তি অত্যন্ত বাড়ে।
৩.এই আসন অভ্যাসে স্মৃতি শক্তি ক্রমশ্য বাড়তেথাকে এবং বুদ্ধির বিকাশ ঘটে।
৪.এই আসনের ফলে মস্তিস্ক সুস্থ ও হালকা হয় এবং কাজের প্রতি ইচ্ছাশক্তি ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়।
৫.এই আসনে হৃৎপিণ্ড শক্তিশালী হয় এবং মেরুদণ্ড সোজা ও নমনীয় হয়।
৬.এই আসন অভ্যাসের ফলে আমাদের শরীরের রক্তের অক্সিজেনের পরিমান বৃদ্ধি
পায় ,ফলে আমাদের শরীর সুস্থ স্বাভাবিক ও কর্মঠ হয়ে ওঠে।
৭.তাছাড়া এই আসন অভ্যাসে পদ্মাসনের মতোই ফললাভ হয়।
***যে সমস্ত ছাত্র ছাত্রী অথবা কোনো ব্যাক্তি ,মহিলা মোটা হওয়ার দরুন পদ্মাসন করতে পারেনা তাদের এই আসন টি করা অত্তন্ত জরুরি ****
Comments
Post a Comment